মূত্রনালির সংক্রমণের প্রধান কারণ এশেরিকিয়া কোলাই (Escherichia coli) হলেও, কখনো কখনো অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণেও এটি হতে পারে। মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকির কারণ হিসেবে থাকতে পারে নারীদের শারীরিক গঠন, যৌনমিলন, বহুমূত্ররোগ, অতিস্থূলতা এবং বংশগত ধারা।
মূত্রনালীর সংক্রমণের ৭ উপসর্গঃ
প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়াঃ
ইউরিনারি ইনফেকশনের অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে, মূত্রত্যাগের সময় অস্বস্তিদায়ক জ্বালাপোড়া অনুভূতি। একে ‘ডিসুরিয়া’ বলে। মূত্রনালী এবং যৌনাঙ্গের আশপাশে ডিসুরিয়া অনুভব হতে পারে।ব্যাকটেরিয়া মূত্রাশয় ও মূত্রনালীর স্তর ড্যামেজ করে এবং তারপর অ্যাসিডিক ইউরিন কোনো ক্ষতের ওপর অ্যালকোহলের মতো কাজ করে- ফলে জ্বালাপোড়া হয়।
ঘনঘন মূত্রত্যাগঃ
যদি আপনাকে ঘনঘন বাথরুমে যেতে হয় তাহলে আপনি কতবার প্রস্রাব করছেন তা হিসাব করুন। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার অনুসারে, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ঘনঘন প্রস্রাবের তাড়না সৃষ্টি করতে পারে, যাকে হাইপারঅ্যাক্টিভ ব্লাডার বা ইরিটেবল ব্লাডার বা ওভারঅ্যাক্টিভ ব্লাডারও বলে। ২৪ ঘণ্টায় আট বারের বেশি মূত্রত্যাগের জন্য বাথরুমে যেতে হলে তা ইউরিনারি ইনফেকশনের একটি উপসর্গ হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রণযোগ্য প্রস্রাবের তাড়নাঃ
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ডেভেলপ হলে আপনার প্রস্রাবজনিত অ্যাকসিডেন্ট ও লিক বেশি হবে অথবা আপনি একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষমতা হারাবেন। সাধারণত আমরা বাথরুমে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রস্রাব যথেষ্ট সময় ধরে রাখতে পারি। কিন্তু ইনফেকশন হলে প্রস্রাবের তাড়না অনিয়ন্ত্রণযোগ্য হয়ে পড়ে। কারণ হচ্ছে- মূত্রাশয় প্রস্রাবে পরিপূর্ণ হওয়ার পূর্বেই মূত্রাশয়ের চতুর্দিকের পেশী সংকুচিত হতে শুরু করে ‘মূত্রত্যাগ করার সময় হয়েছে’ সিগন্যাল দেয়।
ঘোলাটে প্রস্রাবঃ
ইউরিনারি ইনফেকশনের একটি উপসর্গ হচ্ছে ঘোলাটে প্রস্রাব।অনেক কিছুই প্রস্রাবের বর্ণ পরিবর্তন করতে পারে, যার মধ্যে খাবার, ওষুধ সেবন এবং প্রস্রাবের ঘনীকরণ অন্তর্ভুক্ত। প্রায় সময় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ক্ষেত্রে প্রস্রাব ঘোলাটে হয়ে থাকে, যেখানে সম্ভাব্য ক্ষুদ্র সাদাটে ডেব্রিস থাকে।
তীব্র দুর্গন্ধময় প্রস্রাবঃ
কিছু ওষুধ ও খাবার তীব্র দুর্গন্ধময় প্রস্রাবের জন্য দায়ী হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি ডায়েট বা মেডিকেশনের কোনো পরিবর্তন ছাড়া আপনার প্রস্রাবে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তাহলে তা ইউরিনারি ইনফেকশনের একটি উপসর্গ হতে পারে। যেখানে মিষ্টি ঘ্রাণের প্রস্রাব অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, সেখানে নোংরা দুর্গন্ধের প্রস্রাব ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি অথবা মূত্রাশয়ের কোনো ইনফেকশনের সংকেত দিতে পারে।
তলপেট, পিঠ বা পাশে ব্যথাঃ
ব্যথার ধরনের ওপর ভিত্তি করেও বোঝা যেতে পারে যে, ইনফেকশন কোথায় হয়েছে। পিঠ এবং পাশে ব্যথা কিডনি ইনফেকশন বা পায়েলোনেফ্রাইটিসের সিগন্যাল দিতে পারে। পেলভিক এরিয়া বা তলপেটে চাপ হচ্ছে ব্লাডার ইনফেকশন বা সিস্টাটাইটিসের একটি উপসর্গ।
লাল বা গোলাপী প্রস্রাবঃ
যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে, আপনার প্রস্রাব কিছুটা গোলাপী বর্ণের, তাহলে তা রক্তের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে, যা ইউরিনারি ইনফেকশন বা কিডনি স্টোনের একটি উপসর্গ হতে পারে। মনে রাখবেন এটি আরো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, যেমন- ব্লাডার ক্যানসার বা কিডনি ক্যানসার। তাই আপনার প্রস্রাবে রক্ত দেখলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
ইউরোলজী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ডা. মুন্সী আকিদ মোস্তফা
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি)
কিডনী, মূত্রনালী, মূত্রথলি, প্রোস্টেট রোগ, পুরুষ সেক্স বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
এন্ডোস্কপিক, ল্যাপারোস্কপিক ও লেজার সার্জন
ইউরো-অনকোলজি বিভাগ
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল, মহাখালী, ঢাকা।
চেম্বার -১
ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতাল
১১ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণি,
মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
রোগী দেখার সময়ঃ শনিবার, সোমবার ও বুধবার ( বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা )
সিরিয়ালের জন্য- ০১৯৭৮-০৯৮০৮৮
চেম্বারঃ-২
মনোয়ারা হসপিটাল (প্রাঃ) লিঃ
৫৪, সিদ্ধেশরী রোড, ঢাকা-১২১৭
রোগী দেখার সময়ঃ রবিবার, মঙ্গলবার, ও বৃহস্পতিবার ( বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা)
সিরিয়ালের জন্য- ০১৭৮৯-৪৪৬২৪০, ০১৭৬৭-১৭৩১৯৫, ০১৩০১-৪৩৫৫৪৯